লাইফস্টাইল ডেস্ক:- পঞ্চাশে পা দিলেই তো জীবনের শেষ নয়। বরং এই বয়সে অভিজ্ঞতায় আলোকিত চোখ ও অনুভূতি দিয়ে আপনি নতুন জীবনের স্বাদ পেতে পারেন। ক্রমেই পরিণত হয়ে ওঠার মাঝে আলাদা এক আনন্দ রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ বয়সে এসে যে দারুণ অভিজ্ঞতাগুলো অর্জন করতে পারেন তা দেখে নিন।
১. বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে অযথা টানাপড়েন বন্ধ হবে। নিজের ভালো লাগা বিষয়ের প্রতি মনোযোগ স্থির হবে।
২. কাউকে ‘না‘ বলার কারণে কোনো অপরাধবোধ কাজ করবে না। আবার ‘হ্যাঁ‘ বলাটা অনেক বেশি আন্তরিক হয়ে উঠবে।
৩. জীবনের অস্বস্তিকর অবস্থা মনে স্থায়ী হবে না। কিন্তু আনন্দের স্মৃতি সব সময় মনে উঁকি দেবে।
৪. কঠিন কোনো কাজের জন্যে কেউ পঞ্চাশে পা দেওয়া মানুষের ওপর নির্ভর করবে না। তাই বড় ধরনের দায়িত্বশীলতা থেকে বাঁচা যাবে।
৫. এখন জীবনে অল্প কিছুই রয়েছে যা অনেক বেশি দামি। আবার যা রয়েছে তা নিয়েই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারবেন।
৬. এই সময় প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক গভীরতম হবে। এদের সঙ্গে আনন্দ, রাগ, অভিমান এবং আবেগের ভাগাভাগিও সবচেয়ে গভীর হবে।
৭. ফ্যাশন সচেতনতা নিয়ে ব্যস্ত থাকার ঝক্কি চলে যাবে। আবার তা করলেও মানুষের সমালোচনার সম্ভাবনা কম।
৮. একমাত্র আমিই সঠিক– এ ধরনের কোনো মানসিকতা নিয়ে যুদ্ধ করে যাওয়ার মানসিকতা থাকবে না।
৯. মুখরোচক খাবার তৈরির রহস্য এই মানুষগুলোর কাছেই জমানো রয়েছে। ছোটদের তা শেখানোর দায়িত্ব সত্যিই উপভোগ্য।
১০. মেয়েটি বড় হয়ে যখন তার ঘর–সংসার হয়েছে, তখন তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আর চিন্তার কিছু নেই।
১১. স্বাধীনতা ভোগের বিষয়টি সরল হয়ে আসবে।
১২. সামান্য কষ্টে যেমন অনেক অশ্রু ঝরতে পারে, তেমনি অল্প হাসিতে মনটা আনন্দে ভরে উঠতে পারে।
১৩. ভারসাম্য বজার রাখার দায়িত্বশীলতা আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
১৪. এতদিনে উপলব্ধি হবে যে সত্যিকার মানসিক শক্তি সহসা অনুভূত হয় না।
১৫. মুখ ফসকে কিছু না বলা কথা বের হয়ে আসতে পারে।
১৬. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সর্বোচ্চ বিন্দুতে থাকে ৪–৬৮ বছর বয়সের মধ্যে। বিশেষ করে সমস্যা খুব দ্রুত সমাধানের জন্যে তা দারুণ কাজের।
১৭. যেকোনো কিছু মেনে নেওয়ার প্রবণতা প্রবল হবে।
১৮. জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে নিজের পার্থক্য গুরুত্ব পায় এ সময়।
১৯. সমম্যার উদয় হওয়া কোনো বিপদ নয়। একে সমাধান করা দায়িত্ব বলেই উপলব্ধি হয় তখন।
২০. মানুষকে ভালোবাসার চেয়ে বড় কাজ আর নেই, এই উপলব্ধি আসবে।
২১. গতানুগতিক কথাবার্তার বাইরেও নানা কথা বলতে ইচ্ছে করবে।
২২. একটা দারুণ অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে এসে একটা পান বা প্রিয় কিছু খাওয়াটাই বেশি উপভোগ্য মনে হবে।
২৩. জীবন পরিপূর্ণ হয়েছে। অতীতটুকু পরিষ্কার ইতিহাস যাকে নিয়ে বাকি সময় পার করতে হবে।
২৪. দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর মানুষটি যখন আরো কম বয়সী, তখন তাকে বলাই যায়, তোমার বয়সে আমি এমন ছিলাম।
২৫. কোনো কাজে প্রশংসা পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। বরং একে এড়িয়ে যাওয়া অনেক সময় মজাদার হয়ে ওঠে।
২৬. গবেষণায় দেখা গেছে, পঞ্চাশে পা দিয়ে মানুষ সবচেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
২৭. ঝুঁকি নিতে আগের মতো আর দুশ্চিন্তা হবে না।
২৮. অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করতে যাওয়া মানে সময়ের অপচয়, কাজেই কোনো প্রতিযোগিতায় মন বসবে না।
২৯. চিন্তাকে আরো নরম করে আনতে মন চাইবে এবং তা অনেক সুখকর হবে।
৩০. মানুষের মনে কি হচ্ছে তা আরো বেশি পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠছে বলে অনুধাবন করবেন।
৩১. কোনো বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতা থাকবে না। বরং সাহসের সঙ্গে এতে যুক্ত থাকতে মন চাইবে।
৩২. মানবিক আবেদনে সাড়া দিতে কোনো কার্পণ্য থাকবে না।
৩৩. আপনি কে? এ সম্পর্কে ধারণা সবচেয়ে স্পষ্ট হবে।
৩৪. মনের মতো নাস্তা দিয়ে দিন শুরু হলে মনটাই ভালো থাকবে।
৩৫. মা এবং বাবা প্রয়াত হলেও তাদের কথা ও স্মৃতি খুব বেশি নাড়া দেবে। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট