একযুগ পর পাকিস্তান থেকে স্বজনদের সন্ধানে ফিরে এসেছে গীতা
অনলাইন ডেস্কঃ- ভারতের সরকার বলছে, পাকিস্তানে তেরো বছর ধরে আটকে থাকার পর ফিরে আসা এক ভারতীয় নারীর ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখবে তারা।
গীতা নামে পরিচিত এই মূক ও বধির মেয়েটি ছবি দেখে কয়েকজন মানুষকে তার পরিবারের সদস্য হিসেবে সনাক্ত করেছিল, কিন্তু এখন সামনাসামনি দেখা হবার পর সে বলছে, এদেরকে সে চিনতে পারছে না।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, একমাত্র ডিএনএ পরীক্ষাই তার পরিচয় বিষয়ক জটিলতা দূর করতে পারবে।
এদিকে অন্তত চারটি আলাদা আলাদা পরিবার গীতাকে তাদের আত্মীয় বলে দাবী করছে।
তবে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পরিবারের পরিচয় সনাক্ত না হলে ভারতের আশ্রয় শিবিরে থাকবে গীতা।
সুষমা স্বরাজ বলেছেন, গীতার পরিবারের পরিচয় সনাক্ত হোক বা না হোক, সে আমাদের মেয়ে। তার দায়িত্ব আমাদের।
গতকাল সোমবার পাকিস্তান থেকে ভারতে আসে গীতা। দিল্লীতে গীতা যখন ফিরে আসে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাকে স্বাগত জানান।
একযুগ আগে পূর্ব বিহারে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গীতা। এরপর থেকে পাকিস্তানের করাচিতে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলেন গীতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হবার আগে তাকে অনেক উপহার সামগ্রী তুলে দেন পাকিস্তানের বন্ধুরা। এমনকি বিমানবন্দরের কর্মকর্তারাও তার হাতে ফুল তুলে দেন।
সম্প্রতি ভারতে মুক্তি পাওয়া একটি চলচ্চিত্রের পর গীতার বিষয়টি সামনে চলে আসে। ওই চলচ্চিত্রে একজন পাকিস্তানি মুক বালিকার কাহিনী বলা হয় যে, ভারতে আটকে পড়েছিল। কিন্তু গীতার ক্ষেত্রে যেন ঠিক উল্টোটাই ঘটেছে। খবরঃবিবিসি বাংলা।