অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :বরিশালের গৌরনদীর একটি সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলেনে অভিযোগ করেছেন, গৌরনদী পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা ফিরোজ রহমান ও তার সহযোগীরা ভূয়া ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিলাম দেখিয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘর সহায় সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে।
রোববার বেলা ১১টায় গৌরনদী প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে উপজেলা সদরের দক্ষিণ বিজয়পুর গ্রামের সংখ্যালঘু রতন লাল ভৌমিক জানান, উপজেলার জেএল ১৩৪ নং দক্ষিণ বিজয়পুর মৌজার এসএ-২৭০ খতিয়ানের ৫৩৫ ও ৫৩৬ নং দাগের রেকর্ডিয় মালিক তার বাবা সূখরঞ্জন ভৌমিক, কাকা এবং কাকাত ভাইয়েরা। বাংলাদেশ ও ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ওই সম্পত্তির খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখল করে আসছেন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে আমার পিতা আমার মা কানন বালা ভৌমিককে একটি দানপত্র দলিল দেন, যার নং-৭২৭৪/৭৮। এরপর ২০০২ সালে ঈ-ররর-২ নম্বরের একটি রেজিস্ট্রি উইলের মাধ্যমে আমার মা ওই সম্পত্তি আমাকে দেন। ওই উইলের প্রফেট কেস নং- ৮০/৯৬ (তারিখ ০৮-০৭-২০০২ইং)। সেই থেকে আমি ওই সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছি। ইতোমধ্যে অর্থের অভাবে আমি ও আমার মা ২৫জনের কাছে সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে দেই। অবশিষ্ট সম্পত্তি আমার নামে বিএস রেকর্ড হয়। গত ২৮ অক্টোবর গৌরনদী পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমান ¯স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে জানতে পারি ৭নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা ফিরোজ রহমান গংরা একটি নিলামের মাধ্যমে ওই খতিয়ানের সমস্ত সম্পত্তির মালিকানা দাবি করছেন। মেয়রের কাছ থেকে নিলামের ফটোকপি পেয়ে বরিশাল কালেক্টরিতে তল্লাশী দিয়ে নিলামের কোন হদিস পাইনি। পরে আমি ভূয়া ও জাল-জালিয়াতির নিলামের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ১০ নভেম্বর বরিশাল বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে মামলা করি। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ওই নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন গত ২৪ নভে¤^র বিকেলে কাউন্সিলর ফিরোজের নেতৃত্বে তার ভাই আমিনুল, নজরুলসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭-৮জন আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার পিসি মায়া রানী পোদ্দার, ও শাশুরী তুলসী রানী সাহাকে মারধর করে। এসময় হামলাকারীরা বাড়ির মালিকানা দাবি করে গাছের সাথে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয় এবং মনসা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে। এঘটনার পরে আমরা কাউন্সিলর ফিরোজ ও তার ভাই আমিনুল, নজরুলের নাম উল্লেখ করে গৌরনদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেই। কিন্তু পুলিশ প্রভাবশালী মহলের চাপের মুখে কাউন্সিলর ফিরোজের নাম বাদ দিয়ে পুনরায় অভিযোগ দিতে বলে। পরে আমরা বাধ্য হয়ে পুলিশের কথা অনুসারে অভিযোগ দাখিল করি।
তিনি অভিযোগ করেন, মামলা হলেও প্রভাবশালীদের প্রভাবে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছেনা। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি ভুয়া ও জাল নিলামকারীদের হাত থেকে নিজেদের বাড়িঘর সহায় সম্পত্তি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী, ¯স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামণা করেন।