স্পোর্টস ডেস্ক:- বাংলাদেশকে ১০৯ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমি-ফাইনালে উঠে গেল ভারত। আর বাজে আম্পায়ারিংয়ের কবলে পড়ে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো বাংলাদেশের। গতকাল (বৃহস্পতিবার) অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথমে ব্যাট করে রোহিত শর্মার ১৩৭ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৩০২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ভারত। ব্যক্তিগত ৯০ রানেই রুবেলের বলে ক্যাচ আউট হয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু বলটি ‘নো’ হওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। জবাবে খেলতে নেমে ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উদ্বোধনী জুটিকে হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৩৩ রানের মাথায় উমেশ যাদবের বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দেন তামিম ইকবাল। এর পরপরই রান আউট হন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। দলীয় ৭৩ রানের মাথায় মোহাম্মদ সামির বলে বাউন্ডারিতে শেখর ধাওয়ানের হাতে ধরা পড়েন দেশের সফল ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
কিন্তু রিপ্লেতে দেখা গেছে ধাওয়ান যখন প্রথম বলটি ধরেন তখন তার বাম পা বাউন্ডারি রোপের উপর ছিল। অথচ টিভি আম্পায়ারই ‘বারবার’ রিপ্লে দেখার পর মাহমুদুল্লাহকে আউট দেন। যে বলে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ছয় রান জমা হওয়ার কথা সেই বলে রান পাওয়ার বদলে উইকেট হারায় টাইগাররা।
এরপর সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসান আউট হয়ে গেলেই ম্যাচ থেকে মূলত ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ১০৫/৫। এরপরে আর কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শেখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা। উইকেট সামলে ধীরগতিতে রান তুলতে থাকেন তারা। দলীয় ৭৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন হয় ভারতের। সাকিব আল হাসানের বলে দুর্দান্ত এক স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন শেখর ধাওয়ান। এরপর দলীয় স্কোরে ৪ রান যোগ হতেই রুবেলের শিকার হন কোহলি। ব্যক্তিগত ৩ রানে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় আঘাত হানেন তরুণ বোলার তাসকিন আহমেদ। আজিঙ্কা রাহানেকে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি। দলীয় ১১৫ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক চাপে পড়ে গত আসরের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এরপর একটি বড় জুটির দেখা পায় ভারত। রোহিত শর্মা ও সুরেশ রাইনা ১৫.৫ বল খেলে সংগ্রহ করেন ১২২ রান। যদিও আম্পায়ারিং ঠিকঠাক মতো হলে অনেক আগেই ভাঙতে পারত এই জুটি।
এবার দলকে চরম কাঙ্ক্ষিত উইকেটটি এনে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলীয় ২৩৭ রানের মাথায় মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন রাইনা। এরপর রোহিত শর্মার সঙ্গে যোগ দেন ধোনি। তারা দুজনে মিলে দলীয় স্কোরে যোগ করেন আরও ৩৬ রান। দলীয় স্কোর পৌঁছে যায় ২৭৩ রানে। রোহিত শর্মাকে ক্লিন বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তাসকিন। ততক্ষণে ১২৬ বল মোকাবেলা করে ১৩৭ রান করে ফেলেন রোহিত। অথচ রোহিত শর্মাকে ৯০ রানেই ফেরাতে পারত বাংলাদেশ।খবর:রেডিও,তেহরান, রুবেল হোসেনের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচটা লুফে নিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিমদার ‘নো’ বল ডেকে বসেন। এটি আউট না দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।
বাজে আম্পায়ারিংয়ে স্বপ্ন ভঙ্গ টাইগারদের: সেমি ফাইনালে ভারত
Share This