আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- চার বছর গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে ভবিষ্যতে পরিবেশ বিপর্যয়ের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন৷ প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও অ্যামেরিকায় কার্বন নির্গমন কমাতে ওবামা প্রশাসন ব্যাপক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ জলবায়ু পরিবর্তন থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং এই সমস্যার প্রাথমিক উৎস যে মূলত শিল্পোন্নত দেশগুলির কার্যকলাপ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক প্রশাসন বিষয়টি সম্পর্কে তাদের দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে৷ কখনো পালটা যুক্তি, কখনো বা অন্য কোনো অজুহাত দেখিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামা দায়িত্ব গ্রহণ করার পর কিছুটা আশা জেগেছিল৷ কিন্তু তিনিও মুখে এ বিষয়ে অনেক কথা বলার পরেও কার্যক্ষেত্রে তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি৷ এবার ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় এমন কিছু করে যেতে চান, যা সবাই মনে রাখবে৷গত বছরই এমন মনোভাবের আভাস পাওয়া গিয়েছিল৷ নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির ক্ষেত্রে নির্গমনের মাত্রা বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছিলো৷ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওবামা প্রশাসন একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা করতে চলেছে৷ গোটা প্রক্রিয়া এখন শুরু না করলে ২০১৭ সালের মধ্যে এই সব সিদ্ধান্ত কার্যকর করা কঠিন৷ এর আওতায় অ্যামেরিকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির কার্বন নির্গমনের অভূতপূর্ব ঊর্ধ্বসীমা স্থির করা হবে৷ এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটিক দলের মধ্যেই বিরোধিতা বেড়ে চলেছে, কারণ দলের অনেক সাংসদের রাজ্যে বিদ্যুৎ শিল্পের লবি অত্যন্ত শক্তিশালী৷ বিরোধী রিপাবলিকান দলও এই সুযোগে প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে৷ বিরোধীদের নানা অজুহাত৷ কেউ বলে এতে অ্যামেরিকার স্বার্থের ক্ষতি হবে৷ কেউ বা বলে প্রযুক্তিগত অনেক ঘাটতি এখনো দূর হয়নি৷চলতি বছরেই সংসদের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন৷ পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষা অনুযায়ী গত বছর অ্যামেরিকার প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ পরিবেশ দূষণ কমানোর পক্ষে ছিলেন৷ তাঁরা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নির্গমনের মাত্রা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে৷ মাত্র ৩০ শতাংশ এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে৷এরই মধ্যে একটি রিপোর্ট ওবামা প্রশাসনের অবস্থান আরও মজবুত করছে৷ সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের নেতৃস্থানীয় বিজ্ঞানীরা গত চার বছর ধরে গবেষণা করে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভয়াবহ এক চিত্র তুলে ধরেছেন৷ তাঁদের মতে, গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে৷ প্রতিবেদনটি ডি ডাব্লিউ এর, আরও ঘনঘন খরা, ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড ও মহামারি দেখা যাবে৷ অদূর ভবিষ্যতেই এমন সব বিপর্যয় দেখা যাবে অ্যামেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে – এমন পূর্বাভাষ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷