মুহাম্মদ আবু হেলাল,ঝিনাইগাতীঃ বেদখল হয়ে যাচ্ছে ঝিনাইগাতীর ঐতিহ্যবাহী গারো পাহাড়। বন বিভাগের এক শ্রেণীর দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ভূমিদস্যুদের যোগসাজসে গারো পাহাড়ের সরকারি খাস জমি পাহাড়ী টিলা ও সৃজিত বাগানসহ বেদখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে বসতবাড়ী ও আবাদী জমি। ধ্বংস করা হচ্ছে সরকারী বনাঞ্চলের মূল্যবান বনজ সম্পদ। কেটে সাবাড় করা হচ্ছে শাল-গজারী গাছসহ বনাঞ্চল। ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জে শুধুমাত্র বন বিভাগের অনেক পূর্বের হিসাব মতেই ২হাজার ১শত ৩৪ জন জবর দখলকারী ভূমিদস্যু দখল করে নিয়েছে ১হাজার ৭শ ৩ একর বনভূমি। যার পরিমাণ গত ক’বছরে ২/৩ গুণ হবে বলে ধারনা অভিজ্ঞমহলের। অতিসম্প্রতি রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিট অফিসের নাকের ডগায় মাত্র ২/৩শ গজ অদুরেই দরবেশ তলা নামক স্থানের দক্ষিণ পার্শ্বের সুজিত শাল গজারী বাগান পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করে প্রায় ২/৩ একর বনভূমি জবর দখল করে বাড়ী ঘর নির্মান করেছে, সদ্য মৃত্যুবরণকারী ছেলের হতে পিতা খুন নামে খ্যাত- আঃ মতিন। এ ব্যাপারে বর্তমান ও পূর্বের বন কর্মকর্তাদের ভূমিকা রহস্য জনক। বন বিভাগের জবর দখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারের নেই তেমন কোন কার্যক্রম । শুধু মাত্র জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে ২/১টি মামলা দিয়েই বন বিভাগ খালাস। অথচ আজ থেকে মাত্র ৮/১০ বছর পূর্বেও যেখানে ছিল গহিন বন জঙ্গল, সেখানে আজ গড়ে উঠেছে অবৈধ বাড়ীঘর ও আবাদী জমি । এসব ভূমি দস্যুরা গারো পাহাড়ের ৭০/৮০ শতাংশ শাল গজারীসহ মূল্যবান গাছ কেটে উজার করে ফেলেছে দূর্নীতিপরায়ন বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসে । এদিকে বন বিভাগ তাদের নিজস্ব জরিপ কাজে মারাত্বক ক্রটি রেখে রেকর্ডভূক্ত জমি ও বন বিভাগের আওতায় আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বন বিভাগের জমি বাদ রেখেই জরিপ কাজ সর্ম্পূণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মোট কথা বনজ সম্পদ ধ্বংস, ভূমি বে-দখলসহ ব্যাপক বৃক্ষনিধনের ফলে এই বিষয়টি সরকারি অর্থকরী সম্পদ, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক কাজে ব্যয়িত না হয়ে ব্যক্তি স্বার্থ সিদ্ধির উপকরনে পরিনত হয়েছে। হুমকির মূখে পড়েছে গোটা গারো পাহাড়। অভিজ্ঞমহলের মতে, অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও জবর দখল বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে ঝিনাইগাতী গারো পাহাড় অরণ্যের বদলে জনারণ্যে পরিণত হবে, সাধের গজনী অবকাশ মোখ থোবড়ে রইবে পড়ে, এতে কোন সন্দেহ নেই। আর পরিবেশ বিপর্যয়সহ সরকারও হারাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও সরকারি সম্পত্তি।