রাজধানীর শাহবাগ ও চকবাজার এলাকায় লাইফ সেভ ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্র্যান্সমিশন মেডিসিন সেন্টার এবং ক্রিয়েটিভ ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্র্যান্সমিশন মেডিসিন সেন্টরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১,৩২,০০০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ব্লাড ব্যাংক সীলগালা।
জি নিউজ বিডি.নেট ডেস্কঃ কতিপয় অসাধু ব্লাড ব্যাংকের অপতৎপরতা স্বাস্থ্যখাতকে অনিরাপদ করে তুলছে। নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন অনুযায়ী ব্লাড ব্যাংক গুলোতে রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ, ল্যাব সহকারী ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, রক্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ প্রনালী আধুনিক ও উন্নত থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। রক্ত নেওয়ার পূর্বে রক্তদাতার শরীরে এইডস, এইচআইভি, হেপাটাইটিস-বি,সিফিলিস আছে কিনা তা পরীক্ষা নিরিক্ষা করা, সংগৃহীত রক্তদাতার পরিচয় ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট রেকর্ডসহ সংরক্ষন করার কথা থাকলেও অধিকাংশ ব্লাড ব্যাংক এসব নিয়ম মানছে না।
কিছু অসাধু মুনাফা লোভি ব্যবসায়ী ম্যাচিং কিংবা স্ত্রিনিং টেস্টসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই মাদকাসক্ত এবং পেশাদার রক্ত বিক্রেতাদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়াও একটি রক্তের অপ্রতুলতার কারণে জরুরী এসব রক্ত কিনতে বাধ্য হচ্ছে রোগীর আত্মীয়-স্বজন। ফলে এসব রক্ত রোগীর শরীরে প্রবেশের পর বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্মুখীন হচ্ছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-২ তৎপর রয়েছে।
গতকাল সোমবার আনুমানিক ১৬.০০ ঘটিকায় র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক ড. মোঃ দিদারুল আলমের নেতৃত্বে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার সুপ্রিয় সরকারের উপস্থিতিতে এবং র্র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোঃ হেলাল উদ্দিন এর পরিচালনায় রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন ফুলবাড়ীয়া আনন্দবাজার এলাকায় লাইফ সেভ ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্র্যান্সমিশন মেডিসিন সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে
মেয়াদ উর্ত্তীন ২০১৪ সালের সংরক্ষিত দূষিত রক্ত, অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ব্লাড ট্যান্সমিশন বিশেষজ্ঞ অনুপস্থিত, সার্বক্ষণিক মেডিক্যাল অফিসার অনুপস্থিত, ব্যবহৃত ব্লাড ব্যাগের পুনঃব্যবহার এবং গৃহস্থালির কাজে ব্যাবহৃত সাধারন ফ্রিজ ব্যাবহার করে রক্ত সংরক্ষন করা (ব্লাড সংরক্ষনের জন্য ব্লাড প্রিজারভিশন রিফ্রেজারেটর ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক যার তাপমাত্রা ২ ডিগ্রী থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস) পর্যবেক্ষন করেন।
উপরোল্লিখিত অভিযোগের ভিক্তিতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন আইন ২০০২ এর ২৫ ধারা মোতাবেক (১) মোঃ আবুল বাশার (৪৫) কে ২ মাসের কারাদন্ড ও ১,০০০০০ (এক লক্ষ) টাকা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে আরো ০১ মাসের কারাদন্ড (২) লিনাঝিনা তালুকদারকে নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন আইন ২০০২ এর ২৫ ধারা মোতাবেক ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে ০৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন।
অপরদিকে রাজধানীর চকবাজার থানাধীন নাজিম উদ্দিন রোড এলাকায় ক্রিয়েটিভ ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্র্যান্সমিশন মেডিসিন সেন্টারে অভিযান পরিচালনাকালে অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ব্লাড ট্যান্সমিশন বিশেষজ্ঞ অনুপস্থিত, সার্বক্ষণিক মেডিক্যাল অফিসার অনুপস্থিত, ব্যবহৃত ব্লাড ব্যাগের পুনঃব্যবহারের অপরাধে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষর আইন ২০০৯ এর ৩৯ ধারা মোতাবেক ব্লাড ব্যাংকের মালিক মোঃ মোশায়ের হোসেন (২৯) কে ৩০,০০০( ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। র্যাব -২ এর ভ্রাম্যমান আদালত এ ধরণের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবে।