সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,জি নিউজ: পাওনা টাকা আদায়ের ল¶ে ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পন্য সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় আমদানিকারকের কেউ মামলা না করলেও তৃতীয় প¶ মামলা করে ফায়দা লোটার ঘটনায় তোলপাড় শুর“ হয়েছে। পুলিশ কথিত এমামলা নিয়ে ব্য¯— হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের ব্যবসায়ীক মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট ছোট ভোলা গত ৭ মে এক ট্রাক আঙ্গুর ভোমরা বন্দরে প্রেরণ করেন। সেদেশের মাতারা এক্সিজম এর প্রোপাইটার মিঃ সুমন রপ্তানিকারক হিসেবে তার প্রতিষ্ঠানের বৈধ কাগজপত্রের মাধ্যমে আঙ্গুর ভর্তি ট্রাক প্রেরণ করেন ভোমরা বন্দরে। পন্যভর্তি ট্রাক আমাদানি করেন বগুড়ার রাজা বাজার এলাকার মেসার্স আর.কে.পি এন্টারপ্রাইজ এর প্রোপাইটার সেখানকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গৌরি বাবুর ছোট ছেলে মিঃ রাজন। পন্যটি ভোমরা বন্দরে ছাড় করান বেনাপোলের মামুন ট্রেডার্সের মালিক আলতাফ হোসেনের প্রতিনিধি ভোমরার জনৈক জাকির হোসেন। যার বিল অব এন্ট্রি নং- ৪১৪৩। তাং- ০৭.০৫.১৩, ৭৬০ ক্যারেট আঙ্গুর যার পরিমান ১৪ টন ২৫০ কেজি। আমদানিকৃত পন্যের উপর সরকার রাজ¯^ পেয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬১ টাকা। সাউথিষ্ট ব্যাংক শ্যামলী শাখা ঢাকা থেকে গত ০২.০৫.১৩ তারিখে ৪৫৭৭৩ নং এলসি’র মাধ্যমে পন্যটি আমদানি করা হয়। সংশিষ্ট সূত্র মতে আমদানিকৃত পন্য শূল্কায়নের পর ভোমরা বন্দরের জনৈক জাকির হোসেন আমদানিকারকের সাথে পূর্বের দেনা পাওনার জেরধরে পন্যগুলি সরিয়ে ফেলেন। এঘটনার জেরধরে জনৈক মুজিবর রহমান গত ৯ মে সাতক্ষীরা সদর থানায় জাকিরসহ দুইজনকে আসামী করে দঃ বিধির ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদš—কারি কর্মকর্তা নিযুক্ত হন সদর থানার এসআই পলাশুর রহমান। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছেন।
এদিকে আমদানি কারকের প¶ে বগুড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গৌরি বাবুর ম্যানেজার নুর“ল ইসলাম এখন সাত¶ীরায় অবস্থান পূর্বক আলোচনার মাধ্যমে পন্যটি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বগুড়ার আর.কে.পি’র প্রোপাইটার দাবিদার মুজিবর রহমান মামলা করার ঘটনায় ভাবিয়ে তুলেছে ব্যবসায়ীদের। অভিযোগ রয়েছে, ভোমরা বন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএফ নেতাদের পুজি করে তিনিই এখনও এই পন্যের মালিক হওয়ার চেষ্টা করছেন। উলেখ, বগুড়ার গৌরি বাবুর বির“দ্ধে বছরের পর বছর ফলের এলসি বিক্রির নামে বৈধ পথে কোটি কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা করে আসছেন এসমন অভিযোগ ভোমরা বন্দরের একাধিক ব্যবসায়ীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গৌরি বাবুর বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ব্যবসার বিষয়ে অচিরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলে জানান। সার্বিক বিষয়ে গৌরি বাবুর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত নন বলে দাবী করেন।
এব্যাপারে তদš—কারি কর্মকর্তা এসআই পলাশুর রহমান জানান, মুজিবর রহমানের মামলা করার বিষয়ে ¶তিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি পন্যের বৈধ মালিক না হলে মামলা শেষ হয়ে যাবে। একই সাথে আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে দাবী করেন তিনি।
কাজী নাসির উদ্দীন/ সাতক্ষীরা/জি নিউজ