আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালাইতে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা হয়েছে। এবারো এ দাঙ্গা শুরু করার কাজে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং এবার এ অভিযোগ ছড়িয়েছেন একজন উগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, দাঙ্গায় দু’জন নিহত হয়েছে। শত শত দাঙ্গাবাজ বৌদ্ধ মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু করে বুধবার সারাদিন মুসলমানদের ঘরবাড়ির ওপর ভয়াবহ তাণ্ডব চালায়। এসব বৌদ্ধর অনেকের হাতে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র ছিল। মিয়ানমারের কুখ্যাত উগ্র ভিক্ষু উইরাদু মঙ্গলবার তার ফেইসবুক পেইজে একজন মুসলিম চা বিক্রেতার বিরুদ্ধে একজন বৌদ্ধ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রচার করেন। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যে একদল ভিক্ষুর নেতৃত্বে শত শত দাঙ্গাবাজ ওই চায়ের দোকানসহ আশপাশের মুসলিম বসতবাড়িতে হামলা শুরু চালায়। মিয়ানমারের সরকার নিয়ন্ত্রিত দৈনিক নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে, অন্তত ৪৫০ জন দাঙ্গাকারীর হাতে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র ছিল।সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে পত্রিকাটি দাবি করেছে। এর আগে ২০১২ সালে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন (সাবেক আরাকান) প্রদেশে মুসলিম বিরোধী ভয়াবহ দাঙ্গা শুরু করার কাজেও একজন বৌদ্ধ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, দাঙ্গা বাধানোর জন্য ওই বৌদ্ধ নারীকে হত্যা করে তার লাশ মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ফেলে গিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। সেবারের দাঙ্গায় হাজার হাজার মুসলমান নিহত ও লাখ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছিলেন। এবার মান্দালাই’তে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা শুরুর কাজেও সেই ‘ধর্ষণ অস্ত্র’ ব্যবহার করলেন স্বয়ং একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু। মান্দালাই’র পুলিশ প্রধান জাও উইন অং বলেছেন, তারা দাঙ্গার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন এবং এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রতিবেদনটি রেডিও তেহরান এর,পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।