জি নিউজ অনলাইনঃ-মেয়েদেরকাছে চুলের স্টাইল ত্যাগ করা আর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেফেলাটা একই বিষয়। বহু দিনের স্টাইলটাকে বিসর্জন দেওয়ার আগে হাজারো প্রশ্নআর ভয় মনে বাসা বাঁধে। তবে এর পেছনে অন্তত সাতটি যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছেনবিশেষজ্ঞরা। এগুলো জেনে নিন।
১. আগের স্টাইল আপনার ভালো লাগে না :চুলের কাট ভালো না হলেই যে পরিবর্তন করতে হবে তা নয়। আসলে একটি বাজে কাটনিয়ে বহু সময় ধরে চলাফেরা করাটাও অস্বস্তিকর বিষয়। তাই যাবতীয় স্টাইল বাদদিয়ে সাধারণটি গ্রহণ করুন।
২. চুলে ভুল ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়েছে :একজন এক্সপার্ট চুল কাটা থেকে শুরু করে তার যত্ন-আত্তিতে কোনো ভুল করবেননা। কিন্তু দুর্ঘটনাক্রমে বাজে হাতে পড়েও যেতে পারেন আপনি। ফলে চুলেরবারোটা বেজে যাবে এবং তা বদলে ফেলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৩. আপনি যেন মূল্যহীন :আপনি যেন আসবাবের মতো। একটার পর একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েও হেয়ারএক্সপার্টের চেয়ারে বসার সুযোগই পাবেন না। অথবা একবার বসতে পারলেও তিনি তারমোবাইলে কথা বলতে বলতে বা টেক্সটা পাঠাতে পাঠাতে আপনার চুলের যত্ননিচ্ছেন। এমন হলে কী দরকার চুলের বারোটা বাজাতে যাওয়ার?
৪. সাহসী মনোভাব :অনেকে চুলের স্টাইল নিয়ে সাহসী হয়ে থাকেন। আজ এই কাট তো কাল ওই কাট দিয়েযাতা করে ফেলেন চুলের অবস্থা। তেমনটি হয়ে থাকলে আপনার জন্য উপদেশ হলো, ক্ষান্ত দিন এবং সাধারণ স্টাইল গ্রহণ করুন।
৫. অর্থের অপচয় :ভালো এক্সপার্টের কাছে থেকে চুলের স্টাইল করিয়ে নিতে বেশ ভালো পয়সা বেরহয়ে যায়। সেই সঙ্গে দুশ্চিন্তা থেকেই যায়- মানাবে তো? না মানালে আবারো পরেরস্টাইল নিয়ে দুশ্চিন্তা। এসব করতেই প্রচুর অর্থ বের হয়ে যায়। তাই এসব বাদদিন। অর্থ বাঁচান।
৬. ঝামেলা :একেবারে অনাকাঙ্ক্ষিতঘটনা ঘটে গেলে মনটাই ভেঙে যায়। তা ছাড়া একজন ঝামেলা না করা কাস্টমার হওয়ারপরও সেলুনে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে কার ভালো লাগে। এসব ঝামেলা থেকেমুক্তির জন্য এসব স্টাইল জলে ফেলা অনেক ভালো।
৭. বাজে গসিপ :মেয়েদের বিউটি সেলুন যেন গসিপের আখড়া। সেখানে গেলে পরচর্চা, আলোচনা আরসমালোচনা ছাড়া আরো কোনো কাজ থাকে না। তাই এসব নেতিবাচক সামাজিক চর্চা থেকেদূরে থাকতে এবং সর্বোপরি চুলের মহা সর্বনাশের সম্ভাবনা থেকে বাঁচতেস্টাইলিশ চুল না রাখাই ভালো।সূত্র : ইন্টারনেট
মেয়েদের চুলের স্টাইল বিসর্জন দেওয়ার পক্ষে ৭টি কারণ
Share This