মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের একটি কবর থেকে হঠাৎ করেই কানে ভেসে আসে শিশুর কান্নার আওয়াজ। প্রতিদিনের মতো নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে কান্নার এ শব্দ শুনে ভয় পেয়ে যান ফয়সল। দৌড়ে চলে যান বাড়িতে।বুধবার ভোরে এ ঘটনায় একান-ওকান হয়ে পুরো বাড়ির লোকজনের কাছে পৌঁছে যায় খবরটি। কৌতুহলী হয়ে ওঠেন সবাই কান্নার উৎস দেখতে।পরে বাড়ির সবাই দলবেঁধে কবরস্থানে গিয়ে দেখতে পান জীবিত এক নবজাতককে। তখনও কান্না করছিলো ছেলে শিশুটি। তারা নবজাতককে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। সকালে খবর ছড়িয়ে পড়লে শিশুটিকে একনজর দেখতে শত শত উৎসুক লোকের ভিড় জমে।এ ঘটনাটি ঘটেছে কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের স্থানীয় নাছনী সরকারি পাড়ের ব্যবসায়ী ও সাতরা গ্রামের বাসিন্দা ফয়সল আহমদের বাড়িতে।সাতরা গ্রামের বাসিন্দা হারুন মিয়া জানান, উদ্ধার করা শিশুটিকে তার জিম্মায় রেখেছেন। কবরস্থানে পোকার কামড়ে তার শরীরে জখম হয়েছে। পরে ব্রাহ্মণবাজারের স্থানীয় মুসলিম এইড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মালেক অলেক ছুটে যান।এদিকে নবজাতকটি লালন-পালন করতে একই এলাকার নিঃসন্তান দম্পতিরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা ধর্ণা দিচ্ছেন হারুন মিয়ার বাড়িতে। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।অনেক খোঁজাখুঁজির পরও নবজাতকটির অভিভাবক না পাওয়ায় অনেকের ধারনা, অবৈধ গর্ভপাতের মাধ্যমে কেউ নবজাতকটিকে কবরস্থানে ফেলে রেখে গেছেন।