মোঃ সাইফুল ইসলাম ঝালকাঠি থেকেঃঝালকাঠির রাজাপুরে বর্তমান ইট পোড়ানো মৌসুমে বসতি এলাকার বিভিন্ন ধানী জমির মধ্যে তিন শতাধিক ইটের পাঁজা ও ৫টি ভাটা রয়েছে। এসব পাঁজায় ইট পোড়ানোর জন্য যেন নিয়মেই রয়েছে কাঠ ব্যবহারের। সিডরে দক্ষিনাঞ্চলের বনজ সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হলেও এসব ভাটার কারনে বিপুল পরিমান বনজ সম্পদ উজার হচ্ছে। এভাবে বনজ সম্পদ উজার হতে থাকলে অচিরেই পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র শ্রেনির মানুষের দরিদ্রতাকে পুঁজি করে এসব ভাটার মালিকরা কচিগাছ কিনে নিচ্ছেন লটমূলে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাঁজা ও ভাটা ঘুরে দেখা গেছে, নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করেই প্রত্যেকটি পাঁজায় ইট পোড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রজাতির গাছের কাঠ মজুদ রাখা হয়েছে। অনেক পাঁজা ও ভাটায় ইতোমধ্যে কাঠদিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু সংশি¬ষ্ট কারই মাথা ব্যাখা নেই। উপজেলার কয়েকটি মাত্র ২/১টি ভাটায় কয়লা ব্যবহার করলেও পাঁজার সাথে পাল্লা দিয়ে ভাটায়ও কাঠ পোড়ানোর হিড়িক পড়েছে। উপজেলার দক্ষিণ বড়ইয়া গ্রামের ভাই ভাই ব্রিকসে গিয়েও দেখা গেছে একই চিত্র। নদী পথে নৌকা ও ট্রলারযোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঠ এনে স্তুপ করে পোড়ানোর জন্য রাখা হয়েছে। ধানী জমির মধ্যে অবস্থিত এ ভাটাটি তিনদিকে রয়েছে জনবসতি। এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভাটার ধোঁয়ার কারনে শিশু ও বৃদ্ধসহ সকলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাছাড়াও ভাটার পাশের এলাকায় ভাটা প্রতিষ্ঠার পূর্বে বিভিন্ন ফলজ গাছে ফল হলেও বর্তমানে নারিকেল, সুপাড়ি ও আমড়াসহ কোন ফলই হচ্ছে না। ফল ধরলেও তা ঝড়ে পড়ে যাচ্ছে। ভাই ভাই ব্রিকসের ম্যানেজার মাহামুদ বলেন, কয়লায় বেশি টাকা লাগে তাই কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছি। এ বিষয়ে ইউএনও মাহবুবা আক্তার বলেন, কাঠ দিয়ে যদি কেহ ইট পুড়িয়ে থাকে তাহলে সেই পাঁজা ও ভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।