জি নিউজ অনলাইনঃ- “শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ অশালীন, রুচিবিবর্জিত ভাষায় খালেদা জিয়াকে আক্রমণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।গতকাল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “শকুনের দোয়ায় গরু মরে না। শকুনের দোয়ায় গরু মরলে তাহলে দেশে এত গরু থাকত না। দেশে নাকি এখন শকুনই পাওয়া যায় না। দেখা যাচ্ছে একটামাত্র শকুনি আছে।”
প্রধানমন্ত্রী ওই মন্তব্যের জবাবে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয় দিবসের আলোচনায় মির্জা ফখরুল বলেন, “এরা হায়েনার মতো আক্রমণ করছে। হায়েনার মতো কাজ করছে। ব্যাংক, বিমা সব খাওয়ার পর এখন সুন্দরবন খাওয়া শুরু করেছে। এরা মানুষ খেকো বাঘের চেয়েও ভয়ংকর।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র আজ শহীদ, নিহত। আসুন আরেকবার লড়াই করে হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনি। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনি। আরেকবার বাংলাদেশকে মুক্ত করি।’তিনি বলেন, “যে গণতান্ত্রিক শাসনের স্বপ্ন নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল, স্বাধীনতার পর পরই আওয়ামী লীগ তা ধ্বংস করে দিয়েছিল। দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে এলেও আওয়ামী লীগ সে দিন গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে এক ব্যক্তি ও একদলীয় শাসনে চলে গিয়েছিল। যে কারণে সে দিন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক নেতারা আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গিয়েছেন। তারা একদলীয় শাসনের দ্বিমত করেছেন।”
তিনি বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করেছিলেন। এখন তার সুকন্যা স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর জাতিকে ৫ জানুয়ারির একটি নির্বাচন উপহার দিয়েছেন, যার মাধ্যমে গণতন্ত্র পেরেক মেরে কবরে পাঠানো হয়েছে। আগে বিশেষ ক্ষমতা আইন ছিল। আর দেশে এখন চলছে অঘোষিত একদলীয় শাসন।”
নতুন করে ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগের উদ্যোগ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “৫০ হাজার কেন, ৫০ লাখ পুলিশ নিয়োগ দিলেও কাজ হবে না। কারণ দেশের ১৬ কোটি মানুষ সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সরকারকে উৎখাত না করে জনগণ ঘরে ফিরবে না।”তিনি দাবি করেন, “জনগণের আন্দোলন দমাতে এ সরকার পোশাকধারী র্যাব-পুলিশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কারণ তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হাজারও নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও খুন করে অতীতেও কোনো আন্দোলন ধ্বংস করা যায়নি। এ ফ্যাসিস্ট সরকারও পারবে না।
“সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ ও মির্জা আব্বাস, বিএনপির নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শমসের মবিন চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রমুখ। আলোচনায় অংশ নিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমদ বলেন, ‘আজ বাকশাল নেই। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাকশালের বাপ প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’ তিনি দেশ রক্ষায় যুবসমাজকে জীবন বাজি রেখে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।
সরকারকে উৎখাত না করে জনগণ ঘরে ফিরবে না:ফখরুল
Share This