কাজী নাসির উদ্দীন, সাতক্ষীরাঃজমাজমি বিরোধের জেরধরে সংখ্যালঘু কয়েকটি পরিবারের নামে ভাড়াকৃত বাদী দিয়ে অগনিত মিথ্যা মামলা দায়ের করে চলেছে কুচক্রী প্রভাবশালি মহল। নির্যাতিত পরিবার গুলো মিথ্যা মামলার বোঝা বইতে বইতে নাকাল হয়ে পড়েছে। অবশেষে প্রতিকার চেয়ে গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ এক সংসাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলার দেবহাটা উপজেলার রাঙ্গাশিষা গ্রামের মৃত তারক চন্দ্র বাছাড়ের পুত্র রঞ্জন বাছাড়। সংবাদ সম্মেলনে রঞ্জন বাছাড় বলেন, আমার পিতামহ মৃত কমল চন্দ্র বাছাড় এর নামে এক হাজার দুই শত ছিয়াত্তর বিঘা জমি রেকর্ড হয়। ডিএস এই রেকর্ড অনুযায়ী উক্ত জমির মালিক আমার পিতামহ থেকে পর্যয়ক্রমে আমিসহ আমার ৫ ভাইসহ অন্যান্য কিছু শরিক এর উপর বর্তায় ৫৩৮ বিঘা জমি। বিপুল পরিমান এই জমির বর্তমানে আংশিক ভোগদখলিকার আছি। বাকি আংশিক জমি প্রভাবশালি কুচক্রী মহল কালিগঞ্জের কাজলা গ্রামের মৃত গরিব উল্যার ছেলে আলহাজ্ব আলাউদ্দীন বিশ্বাস, সাতক্ষীরা শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পুরাতন সাতক্ষীরা ঘোষ পাড়ার মৃত তারাপদ ঘোষের ছেলে বিশ্বনাথ ঘোষ (বিষু বাবু), এছাড়াও আলাউদ্দীনের ভগ্নিপতি আব্দুস সাত্তারসহ কয়েকজনের ওই জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। এক পর্যায়ে শুরু করে নানান ষড়যন্ত্র। এরই জেরধরে বর্তমান সময়ে তারা রঞ্জন বাছাড়ের প্রতিবেশি মৃত উপেন্দ্র নাথ বাছাড়ের ছেলে বিধান চন্দ্র বাছাড়, শশাঙ্ক বাছাড়, মৃত অখিল বাছাড়ের ছেলে মনোহর বাছাড়, মৃত নবীন চন্দ্র বাছাড়ের ছেলে গনেস বাছাড়সহ এলাকার আরও কয়েকজন ব্যক্তিকে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে আমার ও আমার ভাইসহ শরিকদের নামে হাফ ডজনের অধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছে। এপর্যন্ত ৫/৬ টি মামলার হদিস পাওয়া গেলেও বাকি গুলোর হদিস মেলেনি। থানা এবং আদালত মিলিয়ে দায়েরকৃত এসব মামলায় আমিসহ আমার পরিবার ভাই ও শরিকেরা মিথ্যা মামলার বোঝা বইতে বইতে নাকাল হয়ে পড়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে রঞ্জন বাছাড় আরও বলেন, দেবহাটা উপজেলার রাঙ্গাশিষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে আমার পিতা ও পিতামহর দেয়া ৫০ শতক জমির উপর স্কুলটি আজও স্বাক্ষী হিসেবে দাড়িয়ে থাকলেও এই জমির সীমানা নিয়ে কথিত বিরোধের এক পর্যায়ে কথিত ভাড়াটিয়া বাদী সেজে জনৈক বিধান একটি মামলা দায়ের করেছে। আমার ও আমার অন্যান্য শরিকদের হয়রানির উদ্দেশ্যেই এসব মামলা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সরাসরি ও মোবাইলে হুমকী দিয়ে বলে, তোদেরকে মামলায় মামলায় জর্জিত করে ফেলবো। মাসের ৩০ দিন আদালতে হাজির করার ব্যবস্থা করেছি। তোদেরকে ভারতেই পাঠানো হবে। তারা আরও বলে, তোদের জমির আয়ের টাকা দিয়েই তোদের নামে মামলা করা হবে। দেখি তোরা কিভাবে ঠেকাস। বর্তমানের তাদের আস্ফালন আর হুংকারে আমরা ভিতু ও সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েছি। পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তা হিনতায় ভূগছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, একই এলাকার কালিপদ বাছাড়, অমূল্য বাছাড়, কৃষ্নপদ বাছাড়, অমল বাছাড়, প্রহলাদ বাছাড়, মানিক চন্দ্র বাছাড়, শেখ মাহমুদ আলী, নুরুজ্জামান, গহর আলী গাজীসহ আরও অনেকে।
সার্বিক বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন নির্যাতিত রঞ্জন বাছাড়সহ তার পরিবার ও শরিকরা।