অনলাইন ডেস্ক, জি নিউজঃ- হোয়াইট হাউজের বাইরে সিরিয়ায় হামলার বিপক্ষে বিক্ষোভ, সিরিয়ার বিষয়ে আরব দেশগুলোর অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্যে আরব লীগ প্রেসিডেন্ট আসাদ সরকারকে অভিযুক্ত করলেও দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পক্ষে তারা প্রকাশ্যে এখনও মুখ খোলেনি। ধারণা করা হয়েছিলো যে আজকালের মধ্যেই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র সিরিয়ায় আঘাত হানতে পারে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ওবামার বক্তব্যে এটা স্পষ্ট, শেষ পর্যন্ত অভিযান চালানো হলেও এজন্যে আরো কিছু সময়ের প্রয়োজন। সম্পর্কিত বিষয়, এই পরিস্থিতিতে আরব দেশগুলোর ভূমিকা কী হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোববার কায়ারোতে বৈঠক করছেন। আরব লীগের এই বৈঠকে সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়েই মূলত আলোচনা হবে, কিন্তু সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপ প্রশ্ন তারা কি অবস্থান নেবে তা স্পষ্ট নয়। আরব লীগ সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার নিন্দা করেছে, কিন্তু সামরিক হস্তক্ষেপের যে প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যদেশগুলো নিচ্ছে, সে ব্যাপারে কোন প্রকাশ্য সমর্থন জানায়নি। সিরিয়ায় হামলা সম্পর্কে মার্কিন অবস্থান ব্যাখ্যা করছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে হামলা আসন্ন বলে যে ধারণা করা হচ্ছিল, তা কিছুটা পিছিয়ে গেছে শনিবার রাতে প্রেসিডেন্ট ওবামার ঘোষণার পর। তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধে নামার আগে তিনি এ ব্যাপারে কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে চান। এতে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা স্বভাবতই হতাশ। তারা মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের ফলে প্রেসিডেন্ট আসাদের হাতই আসলে শক্তিশালী হলো। আর সিরিয়ার উপ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফয়সল আল মেকদাদ বলেছেন, তারা মনে করেন প্রেসিডেন্ট ওবামা আসলে কিছুটা সময়ক্ষেপনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু সিরিয়া মার্কিন হামলা মোকাবেলায় প্রস্তুত। তিনি বলেন, তারা জাতিসংঘ পরিদর্শকদলের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তারা যা অনুরোধ করেছে সব রক্ষা করেছেন। কিন্তু এরপরও কেউ যদি সিরিয়াকে আক্রমণ করার জন্য জাতিসংঘকে ব্যবহার করতে চায়, সেটা হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটা বিরাট বিপদ। মি. মেকদাদ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী পরিকল্পনা সম্পর্কে জাতিসংঘের অন্যান্য দেশও এখন সচেতন হয়ে উঠেছে। সিরিয়ায় আঘাত হানার আগে এ ব্যাপারে কংগ্রেসের অনুমোদন চাওয়ার যে সিদ্ধান্ত মি. ওবামা নিয়েছেন, তা অনেককেই অবাক করেছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, একা যুদ্ধে যাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ওবামা পরিস্থিতি বুঝতে আরেকটি সময় নিতে চাইছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের জের ধরে ফ্রান্সও রোববার ঘোষণা করেছে যে মার্কিন কংগ্রেসে এ নিয়ে ভোটাভুটি না হওয়া পর্যন্ত তারাও সিরিয়ার বিরুদ্ধে কোন হামলা চালাচ্ছে না। ফরাসী পার্লামেন্টেও সামনের বুধবার এ নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কথা রয়েছে, কিন্তু সেখানে কোন ভোটাভুটি হবে না। ফরাসী প্রেসিডেন্টের যে ব্যাপক নির্বাহি ক্ষমতা রয়েছে, তাতে তিনি পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই অন্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে পারেন। সূত্র : বিবিসি বাংলা,